চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান।
তিনি বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলায় ঘটনায় মো. মিঠুন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিল। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে মামলার এক নম্বর আসামি আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাই টিভি ও সময়ের সমীকরণের প্রতিনিধি মো. মিঠুন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার একটি গোপন সূত্রে জানতে পারি, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মৃত ফকির চাঁদের ছেলে আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন যাবত গোপনে কৌশল অবলম্বন করে অন্য মানুষের ভুয়া নাম ব্যবহার করে টিসিবির কার্ড তৈরি করে টিসিবির পণ্য আত্মসাৎ করছেন। তিনি সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের টিসিবির পণ্য তুলে বাড়ি নিয়ে গেছেন। এমন সংবাদ পেয়ে আমি, সাংবাদিক এআর ডাবলু ও তুহিন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিলাম।
জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে আব্দুর রশিদের স্ত্রী বলেন, তার স্বামী টিসিবির পণ্য রান্না ঘরে এনে রেখেছন। আমরা সেখানে টিসিবির দুই বস্তা চাল আর কিছু টিসিবির তেল দেখতে পাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আব্দুর রশিদ (৪২) তার ভাই তরিকুল ইসলাম তরির (৪৬) নেতৃত্বে আব্দুর রশিদের ছেলে আমির হামজা অঙ্কন (২৫), মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান সুমনসহ (৩০) আরও ৪/৫ জন আমাদের ওপর হামলা করেন। এসময় আমাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে আমি জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১নং আসামিকে আটক করেছে তবে এ ঘটনার আমি সুষ্ঠ বিচার চাই। এদিকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ আব্দুর রশিদ মেম্বারের বাড়িতে সরেজমিনে তদন্ত করেন।
জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু ও জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু জীবননগরে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ইউপি সদস্য আঃ রশি কে আটক করায় জীবননগর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জীবননগর থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানান।