জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুরে কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন কে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহের কাঠগোলা ও সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলায় ঘটনায় আব্দুর রশিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছিলেন। এই মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরের কৃঞ্চপুরে কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন কৃষকেরা। মানববন্ধন শেষে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাঠগোলা ও সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্রের অফিসে হামলার অভিযোগে ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ, তাঁর ছেলে নয়ন ও জবা কৃঞ্চপুরের কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সাইক্রেটিক এনার্জি লিমিডেটকে সহযোগিতা করছেন। এ জন্য স্থানীয় কৃষকদের থেকে জোর করে জমি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষকেরা প্রতিবাদ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আবদার রহমান বলেন, কৃঞ্চপুরে কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমাদের জমি জোর করে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। জমি দেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, তাঁর ছেলে নয়ন ও জবা।
কৃষক মো. আনছার বলেন, জমি না দিতে চাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা জীবন দেব তবুও চাষের জমি দেব না। জমি দিলে আমরা খাব কী?
মামলার স্বাক্ষী মো. জসিম ও মো. সোহাগ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমাদের মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে শুনছি। তবে আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ। তিনি বলেন, ৭ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কয়েক শ কৃষক জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৃষকেরা তাঁর কাঠগোলায় হামলা চালান। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তিনি কোনো হয়রানি করছেন না।