জীবননগরে নিকাহ রেজিষ্টার কাজীর পদ দুই ইউনিয়নে শুন্য থাকলেও পদ পুরণ না করেই একই কাজী তিন ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাল্য বিবাহ পাশাপাশি প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ১নং উথলী ইউনিয়ন ভেঙ্গে কে.ডি.কে এবং মনোহরপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। বিগত ১৭-০২-২০১৬ তারিখে পুনর্গঠন করা হলেও উক্ত ইউনিয়নে সরকারি ভাবে তিন ইউনিয়নে কাজী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
সাবেক উথলী ইউনিয়নে কাজী হিসাবে মাহমুদুল হাসান (আলম) নিয়োগ দেওয়া হলেও তার স্থায়ী ঠিকানা কে.ডি.কে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামে। দীর্ঘ চার বছর উথলী ইউনিয়ন ভেঙ্গে তিনটি হলেও তিনি একাই তিনটি ইউনিয়নে কাজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে বাকি দুটি ইউনিয়নে কাজি না থাকায় প্রতি বছরে একজন নিকাহ রেজিষ্টার প্রতিবছর নিবন্ধন ফিস, রেজিষ্টার ফিস, ইনডেন্ট মারফত জমা ফিস সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, আলম কাজি একাই তিন ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করায় গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিবাহ দিয়ে থাকে। এমন কি তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নাবালিকা মেয়েকে এনে গোপনে বাল্য বিবাহ দিয়ে থাকে।
উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ কাজি শুণ্যতায় ভুগছি একটা কাজি একা তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকায় এলাকায় বিয়ে সাধির জন্য ব্যাপক সমস্যা হয়। কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমরা একাধীকবার বলেছি কিন্তু কোন ফল হয়নি।
এদিকে জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিত ভাবে জেলা রেজিষ্টারকে উথলী ইউনিয়ন ও মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ ব্যবস্থার জন্য সুপারেশ করলেও এখনও পর্যন্ত তার কোন ফল পাইনি দুই ইউনিয়ন বাসী।
জীবননগর উপজেরা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান বলেন, কাজি উথলী এবং মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমি লিখিত ভাবে জেলা সাব রেজিষ্টারকে বলেছি আশা করি খুব শিঘ্রই এর সমাধান হবে।
এদিকে দুরত্ব এই দুই ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার জন্য উদ্ধতর্ন কর্মকর্তার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
মেপ্র/আরপি