চাকরিবিধি লংঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা করা এবং মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান কে ভারতের দালাল বলার দ্বায়ে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন ডা. অলোক কুমার দাস। শোকজ এর উত্তর দিয়ে ফেরার সময় আদালতের বারান্দায় প্রফেসর আব্দুল মান্নান এর প্রতিনিধি এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীকে দেখে উত্তেজিত ডা. অলোক তাকে অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী বলে আখ্যায়িত করেন।
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের খাস কামড়ায় শোকজ এর উত্তর দিয়ে ফিরছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস। এ সময় অভিযোগের সাপেক্ষে তথ্য প্রমান দাখিল করার জন্য আদালতের বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী। এ সময়
প্রফেসর আব্দুল মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর উপর চড়াও হন ডা. অলক কুমার দাস। এডভোকেট মিয়াজান আলী তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ডা. অলক কুমার দাস এ সময় চিৎকার করে মিয়াজান আলীকে বলেন, আপনি ভুলে গেছেন আপনার কত উপকার করেছি। আর আপনি আমার নামে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ দিয়েছেন। চাকরি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আমি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে গেছিলাম।চাকুরীর কারণে তিনি আমার গার্জিয়ান।
এ সময় এডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, আপনার গার্জিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। আপনার সমস্যা আপনি আপনার ডিজিকে জানাবেন। উনি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কিন্তু বর্তমানে উনি একজন নির্বাচনী প্রার্থী। উনার গাড়িতে এখন পতাকা নাই।
মিয়াজান আলীর কথা শুনে ডা. অলোক তার কানে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এবং রাগান্বিত হয়ে অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীকে উচ্চস্বরে “আপনি একটা অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী বলে স্থান ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য জেলা জজ আদালতের সকল বারান্দা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।