বঙ্গোপসাগরে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছিল, ঠিক তখনই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ভয়ে ফিরে আসতে হয়েছে বলে হতাশার কথা জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলেরা।
জেলার কচুয়া উপজেলার ভাসা গ্রামের ইমারত আলী বলেন, “পুরো ২২ দিনের অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) শেষে পূর্ণিমার গোন শুরু হচ্ছিল। সাগরে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ মিলছিল। কিন্তু সাগর উত্তাল হওয়ায় টিকতে না পেরে দ্রæত ফিরে আসতে হল।
একই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন আরও অনেক জেলে।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মো. মোহাসিন মিয়া বলেন, তিনি চার দিন আগে সাগরে গিয়েছিলেন। আরও দিন দুই-তিনেক থাকার ইচ্ছা ছিল তাদের।
কিন্তু সাগরে বড় বড় ঢেউ আর বাতাসে টিকে থাকা সম্ভব হল না। তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসছি। যারা যেদিক পারছে উঠে আসছে।
ইলিশ শিকারের মৌসুম হওয়ায় সকালে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত উপেক্ষা করেও কিছু জেলেকে শনিবার সকালে বলেশ্বর নদে মাছ ধরতে দেখা গেছে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে ফিরে গেছেন অধিকাংশ।
এদিকে ঝড়ের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণায় সিডর বিধ্বস্ত বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নে বগী এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন আট সহস্রাধিক মানুষ। তবে ঝুঁকি থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা একটি বড় অংশের মানুষের।
স্থানীয়দেন ভাষ্য, ঘর ফেলে সবাই যাবেন না। রাতে বাতাস ও পানির চাপ বাড়লে তখন প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন তারা। তবে সন্ধ্যা থেকে ঝঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝে মাঝে বৃষ্টি বাড়ছে। মাঝে মাঝে থামছে। আবহাওয়া কিছুটা গুমোট। এটা সাইক্লোন সিডরের মতো প্রচÐ ঝড়ের লক্ষণ।
নিজেস্ব প্রতিনিধি