ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় যুবক-যুবতি প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে পড়েছেন বিপাকে। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মিথ্যে মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন আব্দুর রহিম ও তার নববিবাহিত স্ত্রী নুসরাত জাহান তন্নী। বিয়ের পর তারা জীবন শঙ্কায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়,ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা বাজারের নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহিমের একই গ্রামের মো. নুর হোসেনের মেয়ে মোছা. নুসরাত জাহান তন্নীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তন্নীর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের এ কথা তার পরিবারকে জানালে তারা মেনে নিতে রাজি হয়নি। ফলে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাপে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ভয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বিভিন্ন ভাবে তারা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। ইতিপূর্বে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট মিথ্যে অভিযোগ করেও হয়রানী করেছে।
আব্দুর রহিমের স্ত্রী নুসরাত জাহান তন্নী অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুর রহিম আমার বাসার হোম টিউটর ছিলেন। সেখান থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। সেটি আমার বাসায় জানালে বাসা থেকে কেউ মেনে নেয়নি। এরপর আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমার ফোনও নিয়ে নেয়। এভাবে আমি বাসায় ১৪ দিন থাকার পরে আলমডাঙ্গার কলেজপাড়া নানি বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করে আমি পালিয়ে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি।’ সে আরো জানান, আমি ১৮ বছর পার করেছি। সরকারি আইনকে শ্রদ্ধা করি, আমি নিজ জ্ঞানে আব্দুর রহিমকে বিবাহ করেছি।