ঝিনাইদহে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে নৌকার প্রার্থীরা কোনঠাসা। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলার নির্বাচন সম্পূর্ন হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঝিনাইদহে সদর উপজেলার ১৫ টি ইউপিতে নির্বাচনে ১০ টিতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ইউপিতে জামানত হারিয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
এর মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ টিতে নৌকা ও তিনটি বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়। এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দিতায় ৩ জন জয়লাভ করে।
কোটচাঁদপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি ঘটে। ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে নৌকা জয়লাভ করে। মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা মার্কার ৬জন ও বিদ্রোহী ৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ঝিনইদহ সদর উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫ টি ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বচনে ১০ টি ইউনিয়নেই নৌকা প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। দলের ত্যাগী গ্রহনযোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে অযোগ্য ও অগ্রহনযোগ্য প্রার্থীকে নৌকা প্রতিক দেওয়ায় এই ফলাফল বলে মতামত দিয়েছেন দলিয় নেতা-কর্মীরা। এছারা একটি পক্ষের ভোট বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যাওয়া ফলে নৌকার এই ভরাডুবি হচ্ছে বলে জানা যায়।
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা যায় সদর উপজেলার সাধুহাটি, মধুহাটি, হলিধানী, কুমড়াবাড়িয়া, মহারাজপুর, নলডাঙ্গা, কালীচরণপুর, দোগাছী, পদ্মাকর ও হরিশংকরপুর ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে।
এর মধ্যে মধুহাটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ আলমগীর আজাদ মাত্র ৬৫৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন ।
একই সাথে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে হলিধানী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ১২২৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেনএবং তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এছাড়া দোগাছী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোঃ ইছাহাক আলী জোয়ার্দার ভোট পেয়েছেন ১৮২১। তার অবস্থান তৃতীয় এবং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মোঃ রেজাউল করিম ৩২৮৯ ভোড পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।