ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের বয়েড়াতলা গ্রামে ইউপি সদস্যকে অসামাজিক কার্যকলাপে নিষেধ করায় গোলাপি খাতুন (৫০) নামের এক নারীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে।বর্তমানে ওই নারী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত গোলাপী খাতুন অভিযোগ করে বলেন,৬ বছর আগে একই গ্রামের ইউপি সদস্য বিশারত আলীর বোনের কাছ থেকে ৫ শতক জমি কেনেনে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে। কিন্তু তার বোন বুড়ি খাতুন জমি রেজিস্ট্রি না করে নিয়ে তালবাহানা শুরু করে।একপর্যায়ে বিশারত আলী ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে।দাবিকৃত টাকা দেওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাতে ঘোরাতে থাকে।
তিনি আরও বলেন,আমার এক প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে বিশারত আলীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।শনিবার দুপুরে বিশারত আলী ওই নারীর বাড়িতে অসামাজিক কাজের জন্য গেলে তিনি দেখে ফেলেন।গোলাপী খাতুন অসামাজিক কাজ করতে বিশারত আলীকে নিষেধ করে। এসময় তিনি তার জমি রেজিস্ট্রি ও ঘুষের টাকা ফেরতও চায়। এতে বিশারত আলীর ক্ষিপ্ত ওই নারী ও তার পরিবারের লোকজনকে গোলাপীকে মারধর করতে হুকুম দেয়।পরে তারা গোলাপী খাতুনকে বেধঢ়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশারত প্রভাবশালী হওয়ায় গোলাপী খাতুন থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই।তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।