রমাজনের প্রথম দিন থেকেই ঝিনাইদহে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। প্রয়োজনীয় সবজি বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। মাঝে কয়েক দিন দাম কমলেও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) সকালে শহরের নতুন হাটখোলা ও ওয়াপদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটল ও ঢেঁড়স এই দুইটি সবজির দাম শতক ছুঁয়েছে।
এ ছাড়া অন্যান্য সবজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা। সবজির মধ্যে প্রতি কেজি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা পেঁপে ৪০ টাকা ও শসা ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ৩৫ টাকা থেকে দাম উঠেছে ৮০ টাকা পর্যন্ত, শসা ৪০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।
আব্দুল খালেক নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। ৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও অনেক। তাই, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘অন্য দেশে দেখি রমজানে পণ্যের দাম কমে যায়, কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো ঘটে। রমজানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে যা সীমার বাইরে। এখন ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে কিছু কেনায় হয় না।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘রমজানে যেন বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পণ্যের দাম তো অনেক কারণে বাড়ে। তবু আমাদের তদারকি চলছে যেন কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে।’