ঝিনাইদহে বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৯০ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন করোনা উপসর্গ নিয়ে অবস্থায় মারা গেছেন ৪ জন। এর মধ্যে ঝিনাইদহে দুইজন ও মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
শহরের আরাপুর এলাকার চাঁদপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে শাহ আলম (৫০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিশু করোনায় মারা গেছেন। হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আব্দুস সালামসহ অন্তত ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হয়ে উঠেছে।তাদের প্রত্যেকের হাই ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।ঝিনাইদহ করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ জাকির হোসেন এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন মানুষ নিয়মের মধ্যে না আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।ভারতের মতো মৃত্যুর মিছিল শুরু হতে পারে।কিন্তু এতো প্রচার প্রচারণার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।তিনি বলেন,শনিবার পরিস্থিতি এতাটাই খারাপ ছিল যে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটের শয্যা বাড়িয়ে প্রায় একশ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, রোববার সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ১’শ ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে।এদের মধ্যে ৯০ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৮৭ ভাগ।এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৩ হাজার ৩’শ ৯৬ জনে।
২৪ ঘন্টায় ৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৬৬ জনে। তবে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্যমতে এ পর্যন্ত তারা করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ৮১ জনের লাশ দাফন করেছে। এর বাইরেও অনেকের পরিবার নিজ দায়িত্বে স্বজনদের লাশ দাফন করেছে।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় করোনার সংক্রমনের হার দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।হাট-বাজার,দোকান-পাট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক,ছাড়াই কেনা-বেচা করছে ক্রেতারা। শহরের চলাচলে বিধি নিষেধ থাকলেও নিদের্শনা থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। গাদা-গাদি করে হাট-বাজারে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান,৫০ বেড়ের করোনা ওয়ার্ডে ৫১ জন রোগ ভর্তি আছে। স্থান সংকুলান না আরো ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ভিড় লেগে গেছে। মানুষ লাইনে দাড়িয়ে নমুনা দিচ্ছে।