ঝিনাইদহে দুই জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। আজ সকাল ১০ টার দিকে সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম খবরটি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তদর বয়স ৩২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ টি নমুনার ফলাফল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন করোনা পজেটিভ এসেছে।
তাদের মধ্যে ঝিনাইদহ শহরে হাসান ক্লিনিকের পিছনে এক নারী স্কুল শিক্ষক যিনি চন্ডিপুর সরকারী প্রইমারী স্কুলের শিক্ষক। তিনি ঢাকায় গিয়ে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে মটরসাইকেলে চলাফেরা করেন এবং তার ছবি ফেসবুকে দেন।
অন্যজন হচ্ছে কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামে একজন পুরুষ শ্রমিক। মোল্লাডাঙ্গা গ্রামে আক্রান্ত পুরুষটি ফরিদপুর উপজেলার ভাঙ্গা এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতো এবং আক্রান্ত নারী স্কুল শিক্ষক গত ২০ এপ্রিল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে এসেছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীরা কি অবস্থায় আছে তা দ্রুততার সাথে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম।
তবে জেলাকে লকডাউন করার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবী জানিয়ে আসছিলো। এদিকে জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হলেও নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলছে শহরে চলাচলকারী ছোট যানবাহনগুলো। ৭/৮ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ইজি বাইক, রিক্সা-মটর সাইকেলেও একাধিক যাত্রী চলাচল করছে।
এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশের পরও জেলা লকডাউন না করায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সচেতন মহল। সচেতন মহলের ভাষ্যমতে শহর ও গ্রাম এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা চলতে পারে না। হাট বাজারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, সারা দেশে যেভাবে করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছ তাতে এভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই এখনই সকলের উচিৎ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, যথাসম্ভব ঘরে থাকা।
যবিপ্রবি’র অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহকারি পরিচালক অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদ গণমাধ্যমকে জানান, ল্যাবে সর্বশেষ ঝিনাইদহের ২০টি পরীক্ষা করে দুই জনার শরীরে করোনা সনাক্ত হয়। এদিকে ঝিনাইদহে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর মানুষের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।