ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে কেয়া খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কেয়া খাতুন উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সামাউল হক সামাদের মেয়ে।
এ বছর বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা থেকে জেডিসি পাশ করেছিলেন কেয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে দাদপুর গ্রামে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে প্রচন্ড গন্ধ পায় কৃষকেরা। তারা খোঁজ শুরু করলে ক্ষেতের একপাশে মাথার লম্বা চুল ও জুতা দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানায় তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মাটি খুঁড়ে কিশোরী কেয়া খাতুনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা সামাউল হক সামাদ বলেন, ‘গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিলোচনপুর বাড়ি থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর ১ মার্চে থানায় একটি জিডি করি। আজ সকালে খবর পেয়ে দাদপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পাই। মেয়ের মাথার ব্যান্ড ও জুতা দেখে লাশ শনাক্ত করি।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে। কি কারণে ও কিভাবে কেয়াকে খুন করে ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে জানাতে তদন্ত চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয়া জানান, ‘প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়ার। বিয়ের পর থেকে সে নিজ বাড়িতেই ছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কেয়া। ’