ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুরে রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে চামড়া ফেলে রেখে মাংস নিয়ে গেছে কে বা কারা।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের নজরে আসে বিষয়টি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে হাটগোপালপুর বাজারে একটি ঘোড়া আসে। সেই থেকে ওই ঘোড়াটি বাজারের আশপাশে ঘুরে বেড়াতো। পাশের স্কুল মাঠে অধিকাংশ সময় থাকতো। গতকাল শনিবার রাতের আঁধারে ওই ঘোড়াটিকে জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে কে বা কারা। সে সময় চামড়া, মাথা ও ভুঁড়ি স্কুলমাঠে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে কেউ নিয়ে যেতে পারে। ওই বাজারের ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাজারে ঘোড়াটি ঘোরাঘুরি করতো। ঘোড়াটির কোনো মালিক ছিল না। আমরা স্থানীয় মাঝেমধ্যে তাকে খাবার খেতে দিতাম।
আজ সকালে বাজারে এসে ঘোড়াটি কোথাও দেখতে পাইনি। পরে স্কুলমাঠে ঘোড়ার মাথা, চামড়া ও ভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখি। রাতের অন্ধকারে ঘোড়াটি কেউ জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে।’ রবিউল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওই ঘোড়ার মাংস অন্য মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে আমাদের এখানে বিক্রি করা হবে না, এর কোনো নিশ্চয়তাও দেখছি না।’
সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘোড়ার মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী না। ঘোড়ার মাংসে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড থাকে। ফলে ঘোড়ার মাংস খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’