৫লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ঝিনাইদহের সাগান্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেনকে মাথা ফাটিয়ে দিলো একই ইউনিয়নের রাজু মেম্বর।
গতকাল রবিবার রাতে তাকে ডেকে রাজু মেম্বর আরো ৪ জনকে সাথে নিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রাজু মেম্বর সাগান্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের মৃত-নেকবার মন্ডলের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর। আহত প্রবাসী মোশারফ হোসেন আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
আহত ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘ ১৩ বৎসর আমি ব্রুনাই অবস্থান করি। আমি বিদেশ থাকাকালীন সময় থেকে আমার নিকট চাঁদা চেয়ে আসছিলো রাজু মেম্বর ও তার লোকজন। গত ২১ মার্চ আমি দেশে আসি। এরপর সে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর ২৬ মার্চ আমার এক আত্বীয় এ্যাকসিডেন্ট করায় বাহিরে অবস্থান করি। এসময় রাজু মেম্বর আমার বাড়ীতে থাকা দুই নাবালক ইমরান ও রাব্বীর নিকট থেকে বাড়ী তালা দিয়ে বাড়ীর চাবি নিয়ে চলে যায়। আমি ২৯ মার্চ বাড়িতে আসলে ট্রাক্টরের চাবিও নিয়ে যায়।
ঐদিন রাতে ৯৯৯ কল সেন্টারে কল করলে কাতলামাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্য বাড়ী ও গাড়ীর চাবি উদ্ধার করে দিয়ে যায়।
গত ৩১ মার্চ রাতে রাজু মেম্বর আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে জামাল, মনোয়ার, আলম ও ছাত্তার হাত-পা ধরে রাখে আর রাজু মেম্বর লাঠি ও বাশের চটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর রাজু মেম্বরসহ ৫জন আমাকে কিল-ঘুষি মেরে ফেলে রেখে যায়। আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। সুস্থ হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করবো বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে রাজু মেম্বরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ব্রুনাই প্রবাসী মোশারফ হোসেনের মার-ধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তবে আমি তার গয়ে হাত দেয়নি এটা তাদের পারিবারিক ঘটনা। এর সাথে জড়িত নয় বলে তিনি জানান।