ঝিনাইদহ জমি দখল চাঁদা দাবি ও জীবন নাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি এক মহিলা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ১৫ বছর আগে ভারত থেকে আসা সেবা হালদার, দিলীপ হালদার ও শীতল হালদারদের ঘরবাড়ি বানানোর কোন জায়গা না থাকায় মানবিক কারনে তাদেরকে থাকার জন্য মহেশপুরের ১৪৪ নং পুরন্দপুর মৌজার ৩৬৫১ নং দাগে ১৭ শতক জমির মধ্যে উত্তর পাশে ১১.৭৫ শতক জমিতে ঘর বানিয়ে থাকার অনুমতি দেন।
পরবর্তীতে সেই জমি ওদের নামে দলিল করে দেন তার মা ও ভাইয়েরা। ১৭ শতক জমির মধ্যে বাকী ০৫ শতক বুলবুলির নামে থাকে। ১৯৯৮ সালে এই ০৫ শতক জায়গাতে শিশু গাছ রোপন করে বাশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।
২০১৮ সালে ২ মে দিলীপ হালদার এলাকার কিছু ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় বুলবুলির শিশু বাগান কেটে জমির উপর জোরপুর্বক টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরি করে। খবর পেয়ে বুলবুলি ২০১৮ সালের ০৬ মে মহেশপুর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ০৮ মে থানা কর্তৃক নালিশী ঐ জমিতে সালিশ করে জমি ছেড়ে দিতে বলে। সে মোতাবেক দখলদার দিলীপ হালদার ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জমি খালি করার সময় নেন।
সময় পার হয়ে গেলেও তিনি জমি খালি না করায় বুলবুলি মহেশপুর নির্বাহী অফিসার বরাবর ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারি অভিযোগ করলে তিনি ৮মে নোটিশ প্রদান করেন। বুলবুলি পরপর দুই বার ঢাকা থেকে এসে শুনানীতে অংশ নিলেও দখলদার দিলীপ হালদাররা উপস্থিত হননি। উপরন্ত তিনি এলাকার সন্ত্রাসী দিয়ে বুলবুলিকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছেন।
নুর হক ও দিলীপ হালদার গত বছর বুলবুলির উপর কোদাল দিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় বুলবুলি তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে নুর হক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ২০২০ সালের ১ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় দীলিপ ও শীতল হালদার ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে বুলবুলিকে জমি বুঝিয়ে দিবে বলে মুচলেকা দিলেও আজো ৫ শতক জমি বুঝে দেয়নি। বরং এলাকার সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে দাগী সন্ত্রাসী ও টাউট বাটপারদের দিয়ে হত্যার হুমকী দিচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার থেকে মালিবাগ ডিবি হেড কোর্য়াটারের ইন্সপেক্টর সাব্বির পরিচয়ে ০১৭২০৬৬৮৮৮৭ নং ও এস পি মিজানের নাম ভাঙ্গিয়ে ০১৯৯৬৭০৫৬১৫নং মোবাইল থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে একটি জিডি করেছেন। যার নং ৮৮৫।
এতে মহেশপুর উপজেলার পুরনন্দপুর গ্রামের শফি উদ্দীন খানের কন্যা জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন