তারা পাহাড়ী জনপদের অধিবাসি। চেহার সঙ্গে মিল থাকায় তারা ঝিনাইদহে আস্তানা গেড়ে পাহাড়ী মধু বলে ভেজাল মধু উৎপাদন করছিল। ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে এই কারবার চালিয়ে আসছিল বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার তিন যবক। ঝিনাইদহের গোয়েন্দা পুলিশ তাদের পিছু নেয়।
রবিবার দুপুরে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মধুসহ তিনজনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটককৃতরা হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মংচাইন তংচংগ্যার ছেলে প্রদীপ তংচংগ্যা, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ক্যয়জছিং চাকমার ছেলে মংলাইগ্য চাকমা ও একই এলাকার মংম্যাচিং চাকমার ছেলে আংলাচিং চাকমা।
ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শাহীন উদ্দীন জানান, একটি চক্র পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে ঝিনাইদহে এসে রং ও চিনির সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে ভেজাল মধু তৈরী করে বারাজাত করে আসছিলো। এই ভেজাল মধু জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ী মধু নামে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতো।
রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল মধু তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মধুসহ আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।