আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। তাই ঝিনাইদহের পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজ সজ্জার কাজ। জেলায় এবারে ৪৮৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রস্তুতি হিসেবে পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে সামাজিক সম্প্রীতির সভা করেছেন। এবার সদরে ১১৯,শৈলকূপায় ১৩৭,হরিণাকুণ্ডুতে ৩৩,কালীগঞ্জে ৯৯,কোটচাঁদপুরে ৪৫ ও মহেশপুর উপজেলায় ৫৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মণ্ডপে মণ্ডপে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটা মন্দিরেই প্রতিমা সহ সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিমা তৈরিতে চলছে শেষ মুহুর্তের রংতুলির আঁচড়ের কাজ।
এছাড়া আলোকসজ্জা ও প্যাণ্ডেল সাজানোর কাজও চলছে। শহরের কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় শেষ মুহুর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা।
২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি। তাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এ উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারি সহ সিসি ক্যামেরা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবারে জেলায় ৪৮৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা অনুষ্ঠান পালন করতে পারবো।
পুলিশ সুপার মো: আজিম-উল-আহসান জানান, দুর্গাপূজা উদযাপনে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, মন্দিরভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহল কর্তৃক ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত করলে তা তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রীতি, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবমুখর, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা।