ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে গত রবিবার দুপুরে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করে।
সোমবার বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই ঘটনায় ধর্ষক মতিয়ার বিশ্বাসকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। মতিয়ার বিশ্বাস পানামী গ্রামের জিন্দার বিশ্বাসের ছেলে।
এদিকে জানাগেছে, রবিবার বিকালে মতিয়ার বিশ্বাসের ভাই গ্রামের সামাজিক মাতব্বর মজিদ বিশ্বাস ও ভুক্তভোগীর চাচা শফিউল্লাহ ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা মিটিয়ে ফেলার জন্য বাদিকে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।
একই গ্রামের আবেদ আলী নামের একজন জানান, রবিবার বিকালে মজিদ বিশ্বাস ও শফিউল্লাহ বসে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মিমাংসা করেছে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা শিরিনা খাতুন বলেন, আমাদের মধ্যে আর কোন ঝামেলা নেই, সব মিটে গেছে।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে এর বিচার হবে।