ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনপূর্ব এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতা, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। পুলিশের যথেষ্ট তৎপরতার কারণে অনেক সহিংসতা ও হামলা মামলার ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঝিনাইদহ সদরের পদ্মাকর, নলডাঙ্গা, কালীচরণপুর, হরিনাকুণ্ডুর চাঁদপুর, রঘুনাথপুর এবং শৈলকুপার সারুটিয়া, ফুলহরী, উমেদপুর ও আবাইপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী সংঘাত ও সহিংসতা লেগেই রয়েছে। এছাড়া পারিবারিক দ্বন্দ্বও এই হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। অনেক ভুক্তভোগিরা নির্বাচিত চেয়ারম্যানের চাপ, আশ্বাস এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে থানায় মামলা করার সাহস পাচ্ছে না।
গত ২৬ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদরের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে পদ্মাকর ইউনিয়নে ১৮ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে এবং এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তারই সূত্র ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে একই ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মৃত কাওছার শেখের ছেলে মুকুল শেখ এবং রবিউল শেখের বাড়িতে ওহাবের নেতৃত্বে ৭০/৮০জনের একদল দুর্বৃত্ত হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাট চালাই। সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ১৮ ডিসেম্বর দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের সুযোগে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী মন্ডলের ছেলে ওহাব আলী’র নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী মুকুল শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের খাট, আলমারী, শো-কেস, ডেসিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং আলমারীতে থাকা পোলট্রি ব্যবসায়ের ২লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া তার ভাই রবিউল শেখের বাড়িতেও হামলা করে ভাংচুর চালাই এবং ঘরে থাকা নগদ ৮০হাজার টাকা কিছু গহনাসহ আনুমানিক ১লাখ ৭০হাজার টাকামূল্যের দুইটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে মুকুল শেখ বলেন লুটপাটের ঘটনার পর আমরা ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারিনা বিভিন্ন ভাবে হুমকীর মুখে আছি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাসের মিমাংশা করার আশ্বাসে এবং প্রতিপক্ষের হুমকীর ভয়ে আমরা এখনো থানায় অভিযোগ করতে সাহাস পায়নি। ভুক্তভোগিদের দাবি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষিদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন ঝিনাইদহ সদরের কোন অভিযোগ পেলেই আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। বর্তমানে সব এলাকা শান্ত রাখার চেষ্ঠায় পুলিশ তৎপর রয়েছে।