ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। করা হয়েছে লুটপাট। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১৬ জন।
আজ সোমবার (৮জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া, শিতলী, বেড়বিন্নী ও চটকাবাড়ীয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে নৌকার সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত বাধে এতে ঈগল প্রতীকের ৬জন সমর্থককে মেরে আহত করে। আহতদের রাতেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে সদরের ৩ টি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়ীসহ তার অনুসারীদের বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। বাঁধা দেওয়ায় তাদের হামলায় নারীসহ আহত হয় অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়া হরিণাকুণ্ডুর তেতুলিয়া পাড়ায় ঈগলের সমর্থক চটকাবাড়ীয়া গ্রামের রনি নামে এক যুবককে ড্যাগার দিয়ে কুপিয়ে আহত করে সজিব নামে এক নৌকার সমর্থক। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, ৩ টি গ্রামে কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।