দেশের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবণ জেলা ঝিনাইদহ। প্রতিদিনিই খবরের কাগজ, টেলিভিশন দেখা যায় এ জেলার আত্মহত্যার খবর। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সীরা নিজেদের নিমিষেই শেষ করে দেন। এ থেকে পরিত্রাণ ঘটেনি জেলাবাসীর। পরিসংখ্যান বলছে, গত দেড় দশকে এ জেলায় আত্মহত্যা করেছে ৫ হাজারের অধিক ব্যক্তি। এ সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ। এবার ঝিনাইদহের আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে বসুন্ধারা শুভসংঘ। তারই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামানিকের সঞ্চলানায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সহকারী কমশিনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাঞ্চননগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, ফজর আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জয়া রানী চন্দ, কালের কণ্ঠ’র জেলা প্রতিনিধি অরিত্র কুণ্ডু, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শেখ রুহুল আমিন, সমাজকর্মী গাউস গোর্কি, জাহান লিমন, বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, রেক্সোনা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শান্তা ইসলাম, রাফিকা ইসলাম শেফা, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক সাগর ভৌমিক, কার্যকরী সদস্য মো. হাবিবুর রহমান সৌরভ, রিয়াজ হোসেন, রাসেল হোসেন, মোস্তাকিম হোসেন জীম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার সজল কুমার দাস বলেন, ‘আত্মহত্যার অন্যতম কারণ বিষন্নতা। বিষন্নতাকে দূর করতে শিক্ষার্থীদের মানসিক সাহস জোগাতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি দেখা গেছে বাল্য বিবাহের কারণেও অনেক শিক্ষার্থী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এজন্য সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক ভাবে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রচারণা চালাতে হবে।’
বসুন্ধারা শুভসংঘের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশে শুভসংঘ অনেক মানবিক ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এ কর্মকান্ড দেশের সকল অঞ্চলে অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।