ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বাঘা বাঘা ৩৫ প্রভাবশালী নেতাকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করায় বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত নেতারা উপজেলা ও আঞ্চলিক রাজরীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ আঃ রশীদ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৪র্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বহিস্কৃতদের মধ্যে অনেকেই তালিকাভুক্ত রাজাকার পরিবারের সন্তান রয়েছেন যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দলীয় সতর্কতা ও নির্দেশ ভঙ্গ করে ১৫ ইউনিয়নে ৩৫ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় তাদের বহিস্কার করা হয়।
বহিস্কৃতরা হলেন, ১ নং সাধুহাটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাজির উদ্দিন, ২ নং মধুহাটিতে আলতাফ হোসেন, ফারুক হোসেন জুয়েল, তহুরুল ইসলাম, ৪ নং হলিধানী ইউনিয়নে এড এনামুল হক নিলু, ফাতিমা খাতুন, যুবলীগ নেতা নুর এ আলম বিপ্লব, হরুন অর রশিদ মিয়া, ৫ নং কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে সাহিদুর রহমান সন্টু, সিরাজুল করিম, ৬ নং গান্না ইউনিয়নে নাসির উদ্দিন মালিতা, ময়নাল হোসেন, ৭ নং মহারাজপুরে আবু বকর, খুরশিদ আলম, ৯ নং পোড়াহাটি ইউনিয়নে মোঃ আশরাফ আলী, মোঃ বদিউজ্জামান এ্যপো, ১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়নে খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ, ১১ নং পদ্মকর ইউনিয়নে বিকাশ বিশ্বাস, ১২ নং দোগাছি ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান, গোলাম কিবরিয়া কাজল, জাহাঙ্গীর আলম শিবলী, ফয়েজুল্লাহ ফয়েজ, সিরাজুল ইসলাম, ১৩ নং ফুরসুন্ধি ইউনিয়নে আবু সাইদ শিকদার, ১৪ নং ঘোড়শাল ইউনিয়নে তিতাশ বিশ্বাস, জাহিদুল ইসলাম, ১৫ নং কালীচরণপুর ইউনিয়নে এনামুল বিশ্বাস, কাইয়ুম হোসাইন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ১৭ নং নলডাঙ্গায় মোলায়েম খান, কবির হোসেন, রবিউল ইসলাম, সাইফুল আলম ও মোঃ রাকিবুল ইসলাম লিমন। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ আঃ রশীদ বলেন, শেখ হাসিনা যাকে মনোনীত করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই ভোট করবেন।
নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক নেতা আছেন যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে গোপনে কাজ করছেন।
তাদের সহায়তা করছেন। নৌকার প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে আমরা বিদ্রোহী প্রার্থীর সহায়তাকারীর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।