ঝিনাইদহে দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার কিন্তু ব্যবসায়ীরাসহ, সাধারণ মানুষ লক ডাউন মানতে অনিহা প্রকাশ করছে।
৬ তারিখ মঙ্গলবার ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে নতুন ৫২টি নমুনার ফলাফল এসেছে যার মধ্যে ২৩জন আক্রান্ত বলে জানা জানা গেছে। ঝিনাইদহে এ পর্যন্ত মোট ১১১০০নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তে সংখ্যা ২৫০৫জন। বেশ কিছু দিন নমুনা পরীক্ষা এবং আক্রান্ত দ্ইু’ই কম ছিল কিন্তু গত ৪/৫ দিন এর সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা সদরে নতুন ১৩ জনসহ মোট ১৩১৯ জন, কালীগঞ্জে নতুন ১ জনসহ ৫০০ জন, শৈলকূপায় নতুন ৩ জন সহ ২৯৩জন, কোটচাদপুরে নতুন ১ জনসহ ১৫০ জন, হরিনাকুণ্ডতে নতুন ৫ জনসহ ১৩৬জন এবং মহেশপুরে মোট ১০৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু বরণ করেছে ৪১ জন, এর মধ্যে সদরে- ২৭, কালীগঞ্জে- ৬, শৈলকূপায়- ৫, কোটচাঁদপুরে- ২ এবং হরিনাকুণ্ডে- ১ জন।
ঝিনাইদহে লকডাউন কার্যকর ভাবে পালন করতে মাঠে প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীরা সারাদেশের ন্যায় লকডাউন বিরোধী অবরোধ, মানববন্ধন না করলেও সরকারের এই লকডাউন সিদ্ধান্তের প্রতি অনিহা প্রকাশ করছেন। তবে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যবসায়ীদের লকডাউন বিরোধ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
শহরের বাইরের হাট বাজার গুলোতে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি সামান্যও মানা হচ্ছেনা। কাঁচা বাজার ও গরু ছাগলের হাটে মাস্ক না পরা লোকের সংখ্যায় বেশী, সেখানে কোন প্রশাসনের তদারকি নেই এমনকি হাট মালিকদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে কোন মাইকিং করা হচ্ছে না। মঙ্গলবার উপজেলার বৈডাঙ্গা পশু হাটে গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লকডাউন কার্যকর করতে আমরা যথাযথ কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর হবো।