কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, গুম, খুন ও হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২জুলাই) জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদ মিনারের পাশ থেকে এই গণমিছিল শুরু হয়ে শহরের পায়রা চত্তর ঘুরে মুজিব চত্তরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে এই গণমিছিল শেষ করে।
এসময় বিএনপি পন্থী আইনজীবী পরিষদের নেতারা আনোদলানকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ঝিনাইদহ বার কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাকারিয়া মিলন, এ্যাড. বদিউজ্জামানসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
গণমিছিলে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। গণমিছিল শেষে সমন্বয়কারীদের মধ্যে শারমিন সুলতান ও হুসাইন বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন আমরা ঝিনাইদহে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচী পালন করে আসছি। শারমিন আক্তার বলেন এই স্বৈরাচার সরকার এই গণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্রকে কিভাবে এই অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিনত করার চেষ্টা করা হচ্ছে আমরা সেটা হতে দেবনা। আমরা এই রাষ্ট্রকে আবার মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি এবং বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আমাদের নয় দফা বাস্তবায়ন করে এই দেশকে এইটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনত করবো, কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা। তাদের বাদী আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানান। এসময় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে পুলিশ সতর্ক পাহারায় ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচী পালনের সুযোগ দিয়েছি কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটালে আমরা তাদের উপরে চড়াও হতাম সেটা হয়নি। গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তারা মিছিল করতেই পারে তবে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এসময় সদর সার্কেলের এএসপি ইমরান জাকারিয়া, ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দীনসহ অন্যান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিজিয়া আক্তার চৌধুরী ও একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।