ঝিনাইদহে ভাতিজার মাছের খামার নিজের চাচা কৌশলে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহে সদর উপজেলার মামুনশিয়া গ্রামে। গত রবিবার সরেজমিন পরিদর্শন কালে জানা যায়, চাচার উপর ভরসা করে একই গ্রামের মৃত হামিদুর রহমানের ছেলে ভাতিজা ইনতাজ আলী ও আশরাফুল আলম দুই ভাই দীর্ঘদিনের মাছ চাষী চাচা আব্দুল খালেকের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ওসমান আলী, নহর আলী, আসমত আলী সোহরাব আলী, মহর উদ্দীন ও আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় ১৫ বিঘা জমি ১০বছরের জন্য প্রতি বিঘা বছরে ১৪হাজার টাকা মূল্যে বর্গা নিয়ে এবং নিজেদের কিছু জমি মিলে ২০ বিঘা জমির উপর ২০১৮ সালের শেষের দিকে গড়ে তোলেন হামিদ এগ্রো ফিসারিজ ফার্ম। তিন বছর ধরে ভালই চলছিল তাদের ব্যবসা। প্রতি বছর পুকুরে খাবার ও মাছের পোনা বাবদ প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বেশ লাভ হচ্চিল। এবারোও কর্মসংস্থান ব্যাংক ও অন্যান্য এনজিও লোনের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে পুকুরে বড় বড় মাছের আবাদ করেছে। এরই মাঝে পারিবারিক কিছু ঝামেলার কারণে চাচা ভাতিজার মধ্যে বিবাধের সৃষ্টি হয়।
আর এই সুযোগে বর্গাদারদের নিকট থেকে বর্গার টাকা বাড়িয়ে দিয়ে গোপনে চাচা নিজের নামে ৩বছর পরে বর্গার স্ট্যাম্প লিখে নিয়ে ভাতিজাদের জমি নিজের নামে বর্গা নেওয়া বলে দাবি করে কোর্টে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তির নিকট জানতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে তারা বলেন এই জমিতে পুকুর কাটা থেকে শুরু করে তিন বছর ধরে ইনতাজদের দখলে রয়েছে বলে আমরা সকলেই জানি, এখন হঠাৎ করে শুনছি তার চাচার নামে নতুন করে ষ্ট্যাম্প করে পুকুর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষটি নিয়ে যে কোন সময় সংঘাত তৈরী হতে পারে তাই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা চান সকলেই।
এবিষয়ে ভুক্তভোগি ইনতাজ আলী বলেন আমরা চাচার উপর অঘাত বিশ্বাস করে সম্পূর্ন মৌখিক ভাবে বর্গাদারদের নিকট থেকে ১৫বিঘা জমি নিয়ে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছি। আমার নামে পানির মোটর স্থাপন করেছি, হামিদ এগ্রো ফিসারিজ নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যবসা করে আসছি হঠাৎ চাচার সাথে একটু বিরোধ তৈরী হওয়ায় চাচা আমাদের সাথে সম্পূর্ণ বে ইমানী করে বর্গাদের ম্যানেজ করে গোপনে এবছর স্ট্যাম্প করে আমার খামারে মাছ চাষের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করে করেছে । আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যয় বিচার কামনা করছি।
এবিষয়ে চাচা আব্দুল খালেক বিশ্বাস জানান জমির বর্গা আমিই ঠিক করে দিয়েছিলাম কিন্তু জমির মালিকরা ঠিকমত টাকা না পাওয়ায় তারা আমার নামে নতুন করে চুক্তি করে দিয়েছে। এলাকাবাসী সংঘাত নিরসনে প্রশাসন সুদৃষ্টি কামনা করেন।