দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং ও প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
দায়িত্ব বন্টনে অবহেলা হয়েছে বলেও এসব ভুক্তভোগীর মনে করছেন। এবার ৮ম গ্রেডের চাকুরীজীবীকে দেওয়া হয়েছে পোলিং অফিসার। আবার সরকারী-বেসরকারী অনেক ৯ম ও ১০ম গ্রেডধারীদের দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রিজাইডিং ও প্রিজাইডিং অফিসার। আবার বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
যারা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সেসব সিনিয়র প্রভাষকদের এবার দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। কলেজের শারীরিক শিক্ষা’র শিক্ষক ও সিনিয়র গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের শিক্ষক যারা বর্তমানে ৮ম গ্রেডধারী তাদেরকেও দেওয়া হয়েছে পোলিং অফিসার। অথচ সরকারী ও বেসরকারী স্কুল ও অন্যান্য চাকুরীজীবীদের ৯ম ও ১০ম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজ, আমেনা খাতুন ডিগ্রি কলেজসহ একাধিক কলেজের বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক ও প্রভাষকরা এই অভিযোগ করেন। তারা ওসব দপ্তরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে না পেয়ে ক্ষোভ নিয়ে ফিরে এসেছেন।
এবিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ রোকুনুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা সবকিছু উপজেলা নির্বাহী অফিস করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সদর নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যার যেখানে দেওয়া হয়েছে সেটা তাকে পালন করতে হবে। যদি সমস্যা থাকে তাহলে আমর কাছে বলুক। বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোসের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ রবিবার থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সদরে ১৫০টি কেন্দ্রের জন্য প্রিজাইডিং অফিসাদের প্রথম প্রশিক্ষন সম্পন্ন করা হয়েছে আজ সোমবার সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে।