ঝিনাইদহে যবুলীগ নেতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন মালিথাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত রবিবার ৩১ জানুয়ারী ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ (অতিরিক্ত-১) আদালতে নাসির মালিথা আত্মসমার্পন করে জামিন চাইলে বিচারক না মুঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
আদালতের হিসাবে এ মামলায় ৯ বছর পলাতক থেকেও ৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আসছে বলে জানা যায়। এমনকি আদালতের ওয়ারেন্ট তিনি কৌশলে গোপন করেন। সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তিনি গা ঢাকা দেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ২০১০ সালে ৭ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর ব্রিজের ওপর বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন গান্নার তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মন্ডল শান্তি। এর তিন দিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শান্তির শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
এর মধ্যে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাতে চেয়ারম্যান নাসির মালিতাকে হুকুম ও অর্থদাতা হিসাবে জবানবন্দি দেয় গ্রেফতারকৃত আসামিরা। জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং একজন পলাতক রয়েছেন। ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর পুলিশ আদালতে চার্জশীট জমা দেয়।
চার্জশীট অনুযায়ী নাসির উদ্দিন মালিথাকে হত্যা মামলায় ৯ নং আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।