পাট ঠাকুরের পাটে ধুপ দেয়ার পর মঙ্গলবার মন্দিরে মহাদেব-এর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সকাল দশটায় দীঘির পানি থেকে চড়ক গাছ তোলা হয়। ১৩ হাত দৈর্ঘ্যরে শাল গাছটি চড়ক নামে পরিচিত। চড়ক গাছটি মন্দির প্রাঙ্গণের স্থাপনের পর মনোবাসনা পূরণের আশায় সেই গাছে দুধ, তেল, চিনি ঢালেন ভক্ত, অনুসারী ও পুণ্যার্থীরা।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে হাজার বছর ধরে চলে আসা এ মেলা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলা থেকেও ভক্ত অনুসারীরা আসেন পূজা দিতে।
পূজা দিতে আসা ভক্তরা জানান, আমরা বিশ্বাস করি বাবা মহাদেবের কাছে মানসা করলে সেই মানসা পূরণ হয়। সে কারণে আমরা মহাদেবের মানসা দিতে আসি। বাবা মহাদেবের আশীর্বাদে গোটা বিশ্ব শান্তিতে থাকবে আশা করি।
চাকলা পাড়া মহাদেব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস ও সহ সম্পাদক চন্দন বিশ্বাস জানান, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে স্বল্প পরিসরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করছি। এবং সকল ভক্তদের মঙ্গল কামনার জন্য এই পূজা করা হয়।