ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার, তিনজন দলিল লেখক, কুষ্টিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ইব্রাহিম হোসেন বাবুল এবং দলিল জালিয়াতি চক্রের হোতা হাটফাজিলপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলসহ উনিশ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে দলিল জালিয়াতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
যাহার মামলা নং ৫৫৫/২২,তারিখঃ২২/১২/২০২২ ইং।ধারাঃ ৪২০/৪৬৩/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৫০৬(২)পেনাল কোড। মামলার বাদী হচ্ছে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক শামীমুল ইসলাম শামীম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জালিয়াত চক্র ও কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট। র্দীঘবছর ধরে জমি রেজিষ্ট্রির সকল প্রকার জালিয়াতির কাজসহ দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি, ভূয়াপর্চা তৈরি,স্বত্তের থেকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রি, নামপত্তনের খারিজ খতিয়ান জালিয়াতি, দলিলের বালাম বই থেকে পাতা ছেড়া, দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়, টেম্পারিং জাল করাসহ কৌশলে প্রতারণা মুলক ভাবে দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি করায় ভূক্তভুগি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সাব-রেজিষ্ট্রার,দলিল লেখক, গ্রহীতা, দাতা, স্বনাক্তকারিদের যোগসাজশে ব্যাপক জাল-জালিয়াতি ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ জনিত অপরাধ সংগঠিত করে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতি দলিল নং ৬০৪০/২১, ৬৩০৫/১১, ২০৭১/১৪, ১৭৫০/১০, ৬৮৪০/৬৮, ৩০৭১/২০০১, ১৫৯/২০০১, ৫৬৮৬/২০০০, ৩৫৫৭/২০০০, ৫৬৮৫/০৯ এবং দলিল নং ৫৬৮৬/০৯। এছাড়াও ভূমিদস্যু ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলে দাতা হয়ে তার প্রাপ্ত সমূদয় সম্পত্তি গ্রহীতা রেজাউল ইসলামের নিকট কবলা দলিল নং ১১৩৯/৮১,রেজিষ্ট্রি তারিখঃ ২০/০১/১৯৮১ এ বিক্রয় করার পরও উক্ত গ্রহীতা ব্যতিরেখে একই জমি দ্বিতীয় বার জালিয়াতির আশ্রয়ে বিক্রয় করেছে। উক্ত ১১৩৯/৮১ নং দলিলটি যশোর ডি.আর অফিস থেকে বালাম বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলা হয়েছে ব্যাপক ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে।্ এছাড়াও শৈলকুুপা থানায় সাব-রেজিস্ট্রারে বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশন মামলা করেন, যাহার মামলা নং ০৬/২৬০, তারিখ ১০/১১/২০১৪।
উল্লেখ: ইতিপূর্বে আসামী ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে, দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন হাটফাজিলপুর গ্রামের সাবেক ম্বেম্বর রবিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। যাহার মামলা নং শৈল,সি,আর,১০৩/১২।
মামলার বাদী শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামীগনের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে যে সকল দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে তারফলে আমার সম্পত্তির মালিকানা আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা দলিল প্রস্তুত (making a false document) করা হয়েছে। যাহার ফলে অবৈধ্য অধিকার তৈরি হওয়ায় আমার অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে এবং আমি আমার বৈধ অধিকার হইতে বঞ্চিত হয়েছি। সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে জালিয়াত কারিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হলে দলিল জালিয়াতি দুর করা সম্ভব হবে।