ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালে টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ এনে এক ঠিকাদার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে বিবাদি করা হয়েছে।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়েছে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারি মিনা মোহাম্মদ নবী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ২৫০ শয্যা ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে রোগীদের ঔষুধ, যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজ, গজ কাপড়, লিলেন কাপড়, কেমিক্যাল ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য প্রায় ৬ কোটির টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়। শর্ত অনুযায়ী সাধারন ঠিকাদারেরা অংশ নিতে অযোগ্য হয়ে পড়েন।
এ নিয়ে এমএস এন্টারপ্রাইজের মালিক মৌসুমি আক্তার মিথিলা বাদী হয়ে সিভিল সার্জন ও তত্বাবধায়ককে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। লিগ্যাল নোটিশে কাজ না হওয়ায় মঙ্গলবার ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিনা মোহাম্মদ নবী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নাম্বার- ৩১/২৫)।
মামলায় ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মিথিলা ইসলাম ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মিথিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো দায় দায়িত্ব নেই। তাই এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।