সোমবার বিকাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর, বাস টার্মিনাল, হামদহসহ বিভিন্ন উপজেলার মোট ২২টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সিলগালা করে বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মিথিলা ইসলাম।
মিথিলা ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক জেলাজুড়ে অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতালের তালিকা তৈরি করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে সকল হাসপাতালের নিবন্ধন নেই সেসব হাসপাতালে তালা দিয়ে সিলগালা করা হয়েছে।
প্রথম দিনের অভিযানে ওমেগা প্রাইভেট হাসপাতাল, ছন্দা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নোভেল প্রাইভেট হাসাপাতালসহ আটটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে শৈলকুপার লালন শাহ প্রাইভেট হাসপাতাল, অর্পণ ডায়াগনষ্টিক, মা কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ ৫টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৬টি এবং এবং মহেশপুরের ২টিসহ সর্বমোট ২২টি বেসরকারী হাসপাতাল তদন্ত করে নিবন্ধন না থাকায় তাদের প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সুভ্রা দেবনাথ জানান জেলাজুড়ে অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ জেলায় ১৭৯টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যার মধ্যে ২৭টি অনিবন্ধিত ও ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ নবায়ন করা হয়নি।
এছাড়া জেলা শহরের বাইরে অধিকাংশ বেসরকারী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, এবং প্রশিক্ষিত আয়ার পরিবর্তে চলছে চুক্তিভিত্তিক ডাক্তার এবং প্রশিক্ষন বিহীন নার্স ও আয়া দিয়ে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ ও মানহীন প্রতিষ্ঠান চলছে বছরের পর বছর। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সচেতন মহল বলেন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, অন্যান্য জনবলসহ সার্বিক অবকাঠামো মানসম্মত না হলে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান কে নিবন্ধন দেওয়া ঠিক হবেনা।