ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাপক ঝুকির মধ্যে। গত তিন দিনে জেলাই মোট ১৩জন রোগী করোনা পজেটিভ শনান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৭জনই স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ডাক্তার নার্সসহ সকলের মধ্যে এক ভীতিকর পরিস্থিতি কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায় গত ২৬এপ্রিল ৭জন শনাক্তের মধ্যে একজন ডাক্তার, একজন হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ এবং দুই ্এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। এছাড়া ২৭তারিখ সোমবার ৪জন শনাক্তের মধ্যে ৩জনই স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে জড়িত একজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (দায়িত্ব প্রাপ্ত), একজন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কার্যালয়ের ভান্ডার রক্ষক এবং একজন ড্রাইভার বলে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানাগেছে গত ২৫ তারিখে যে দুইজন রোগী শনাক্ত হয়েছিল তার মধ্যে বিথি খাতুন নামে একজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে এবং তাকে দেখতে গিয়ে দুইজন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ফিল্ড পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েক জন জানান ব্যবহৃত পিপিই এবং মাস্ক এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেন মান সম্মত পিপিই সরবরাহ করা হয়নি এবং যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা এন-৯৫ মাস্ক নয়।
এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন স্বাস্থ্য কর্মী ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীরা এখনো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পোষাক পাইনি বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাজ্জাৎ হোসেন সরকারী গাড়ি আনতে ঢাকায় যাওয়ার কারনে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার পরিবর্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাঃ গুলশানারা লিমা জানান নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে এই অক্রান্ত হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর কম্উিনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের পিপিই এখনো পাওয়া যায়নি, যদি পাওয়া যায় তা সাথে সাথে পৌছে দেওয়া হবে।