ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণ পুর ইউনিয়নের বিরোধ পূর্ণ জমির গাছ জোরপূর্বক কেঁটে নেওয়া এবং গত ১২অক্টোবর সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্যদিয়ে জমির মালিকানা দাবী করার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগি প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ ভুক্তভোগী জমির মালিকের স্বামী প্রবাসী হাসানুর রেজা বুলু। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫৬ নং কালীচরণপুর মৌজার এসএ দাগ নং ৫২৭ এবং আরএস ১৬৮৬নং দাগের ২২ শতক জমি নাবালক মসলেমের পক্ষে অভিভাবক পিতা গোলাম রব্বানী ২মার্চ ১৯৫৯ তারিখে ৩২৫২ নং দলিলের মাধ্যমে খোরশেদ আলীর স্ত্রী
আমিরণ নেছার নিকট বিক্রয় করিয়া সরেজমিনে দখল দেন। আমিরণ নেছা মারা গেলে একমাত্র কন্যা সাজেদা খাতুন ওয়ারেশ থাকে। এই ওয়ারেশ মুলে সাজেদা খাতুন নিজ নামে নামপত্তন করেন। সাজেদা খাতুন আর এস ১০৩৪ খতিয়ানে ২০
শতক রেকর্ড করিয়া ভোগ দখল করতে থাকা অবস্থায় ০২ এপ্রিল ২০১৪ সালে ২৭২২ নং আমমোক্তার নামা দলিলে মোঃ হাসানুর রেজাকে আমোক্তার নিযুক্ত করেণ। এসময় হাসানুর রেজা ১জানুয়ারী ২০১৫তারিখে ১১১১৮ নং দলিলে নাসিমা বেগমের নিকট হস্তান্তর করে সরেজমিন দখল দেন। নাসিমা দখলী সম্পত্তি হিসেবে নাম পত্তন করিয়া ১৬৭১ নং হোল্ডিং এ ১৪৪৯ নং খতিয়ানে কর খাজনা প্রদান করতে থাকেন এবং বেড়া দ্বারা ঘিরিয়া মেহগনি, কড়াই. আম গাছ লাগাইয়া ভোগ দখল করতে থাকে। এরপর মিজানুর রহমান, একরাম হোসেন ও সজিব হোসেন নালীশি জমি বেদখলের হুমকী দিলে নাছিমা বেগম চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেণ। পরবর্তিতে সজিব হোসেন গং নালীশি জমির গাছ পালা কাটিয়ে তারের বেড়া
দ্বারা ঘেরা শুরু করিলে ৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে পুনঃরায় বিজ্ঞ আদালত হইতে স্থানীয় পরিদর্শনে প্রতিবেদন প্রার্থনা করেণ। প্রতিবেদনের আদেশে দেখা যায়,নালিশী জমি হইতে গাছ পালা কাটিয়া তারের বেড়া দ্বারা ঘিরিয়া রাখিয়াছে। এঅবস্থায় বাদিনির ৬৪ বছরের দখলীয় জমিতে ক্ষমতার জোরে জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সজিব হোসেন প্রবেশ করে উক্ত জমির মেহগনী বাগানসহ অন্যান্য গাছ পালা কাটিয়া নেয় এবং জমি কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরিয়া রাখিয়াছে। ভুক্তভোগী বুলু ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম জমিতে প্রবেশ করতে গেলে খুন জখমের ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন ক্ষমতার জোরে সজিব হোসেন তার পরিবারের উপর বড় ধরণের হামলাসহ ক্ষয় ক্ষতি করার হুমকী দিয়ে আসছে। পরিবারের
লোকজনের নিরাপত্তার জন্য এবং গাছের ক্ষতি পূরণসহ জমির মালিকানা ফিরে পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।