শর্তেও বেড়াজালে পড়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ছয় কোটি টাকার টেন্ডারে অংশ নিতে পাচ্ছেন না সাধারন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। বঞ্চিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস এন্টারপ্রাইজের মালিক মৌসুমি আক্তার মিথিলা বাদী হয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছেন। যার বিবাদী করা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, বর্তমান তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান শর্ত আরোপ করে তার পছন্দের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেনদরবার প্রায় চুড়ান্ত করেছে।
জানা গেছে, ২৫০শয্যা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের- ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য রোগীদের ঔষুধ, যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজ গজ কাপড়, লিলেন কাপড়, কেমিক্যাল ও আসবাপত্র সরবরাহের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে সাধারন ঠিকাদারীগন এই কাজে অংশ নিতে না পারে। অভিযোগ রয়েছে রাজশাহীর এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান দেনদরবার শেষ করেছে। এমনকি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে হাসপাতালের ই-টেন্ডারের গোপন পাসওয়ার্ড সরবারহ করেছেন।
মাগুরার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামুন ড্রাগর্সের মালিক আজিজুল হক অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক যে শর্ত দিয়েছেন। তা বিগত দিনে বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে এমন শর্ত দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, ঠিকাদারী কাজে অংশ নেওয়ার জন্য ৯৬টি আইটেমের স্যাম্পল দিতে হবে। কিন্তু এই স্যাম্পল নিতে ৫/৬ লাখ টাকার খরচ হবে। যদি কাজ না পাই তাহলে পরবর্তীতে কোম্পানী থেকে নেওয়া ওই স্যাম্পল ফেরৎ নেবে না। ফলে এই কাজে আমরা অংশ নিতেও পারছি না।
এছাড়াও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রাজশাহীর টোটন এন্টারপ্রাইজকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঢাকায় বসে মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহন করে তাকে কাজ পাওয়ায়ে দেওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও হিসাবরক্ষক ফেরদৌস হোসেনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মিথিলা ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো দায় দায়িত্ব নেই। তাই এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।