‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ বর্নাঢ্য এই স্লোগানে নানা আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। হেমেন্তের নতুন ফসলের গন্ধে মতোয়ারা সবাই। এর মধ্যে ওঠে পিঠা উৎসব।
এ সময় পিঠার হরেক রকমের রুপ নেই। কৃষকের মুখে ফোটে হাসি। যেন মনে হয় ক্লান্ত চাষী এখন বিশ্রাম নিতে চলেছে। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা, আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছীদের গাছ কাটা, যান্ত্রিকতার যুগে হারিয়ে যাওয়া ঢেকিতে মহিলাদের ধান ভানা, কৃষকের আমন ধান ঘরে তোলার নানান আয়োজন আর গ্রামীণ গৃহিনীদের নানান রকম পিঠা পুলির আয়োজনে পালিত হয় এ নবান্ন উৎসব।
হাজারও নারী পুরুষের প্রাণচ্ছল উপস্থিতি উপজেলা প্রশাসনের এ আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন শিল্পীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবটিকে আরো প্রাণোবন্ত করে তোলে। আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ বাঙালীর প্রাণের এ উৎসবে অংশ গ্রহণ করে। পারফলসী গ্রামের ষাটার্দ্ধ আবু তাহের ও আব্দুস সামাদ বলেন বহু বছর পর এ উৎসব দেখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া নানান গ্রামীণ উৎসবের কথা মনে পড়ছে।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকের সাথে বাঙালীনায় প্রাণের এ উৎসব উপভোগ করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।
এ সময় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী শ্যামলী কুমার নাথ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আরিফ-উজ-জামান, জেলা পরিষদ সচিব রেজা-ই-রাফিন সরকার, সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি রওশন আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, মুনজুরুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরী সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা।
-হরিণাকুন্ড প্রতিনিধি