আজ বুধবার ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহ ছেড়ে গেলে মিত্র বাহিনী, মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনী যৌথভাবে ঝিনাইদহ মুক্ত ঘোষণা করে। পাক হানাদারবাহিনী ঝিনাইদহ ছেড়ে কুষ্টিয়া অভিমুখে রওনা হলেও তাদের একটি গ্রুপ শৈলকুপা বাজারে অবস্থান করে।
খবর পেয়ে মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর সাথে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীর সাথে ২৬ ঘন্টা যুদ্ধ চলাকালে ৬০ রাজাকার ও ১৩ পাক আর্মি মারা যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তৎকালিন ঝিনাইদহ মহাকুমার এসডিপিও মাহবুবুর রহমান গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। তার নেতৃত্বে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়।
ঝিনাইদহের মহেশপুর কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও হরিনাকুন্ডু থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাকবাহিনী ও তার দোসরা ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পিছু হটতে শুরু করে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকহানাদার বাহিনী গভীর রাতে মহেশপুর ও খালিশপুরের মহাসড়ক ব্রীজ, বিষয়খালি ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে ঝিনাইদহ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
৬ ডিসেম্বর তৎকালিন মুজিববাহিনীর জোনাল লিডার মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন, আঞ্চলিক কমান্ডার জেডএম ফিরোজ, আব্দুর রহমান সুমন, থানা কমান্ডার আব্দুল হাই, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, মকবুল হোসেনসহ জেলার মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনী সদস্যরা জেলা ও থানায় মুহুমুহু গুলিবর্ষন করে আনন্দ উল্ল¬াস করতে করতে থানা ও মহাকুমা সদরে প্রবেশ করে। সেই হিসাবে ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্মরনীয় দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান লাভ করেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনাসহ দিন ব্যাপি নানান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।