ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঝিনাইদহ মুসা মিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর সেন্টারে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মহুল বলেন আমি নির্বাচনে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চেয়েছিলাম কিন্তু দিনকে দিন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা মামলা অব্যাহত রেখেছে।
এপর্যন্ত আমাদের ৫০জন কর্মী সমর্থককে মারধর করে অহত করেছে। অনেকে এখনো ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী অফিস, প্রচার মাইক, ব্যবহৃত গাড়ী এবং সমর্থকদের বাড়িতে পর্যন্ত হামলা করেছে। এবিষয়ে ১৬টির মত মামলা হয়েছে। এসময় তিনি আহতদের ছবি, ভিডিও চিত্র এবং কিছু আহতদের সরাসরি দেখান। তিনি বলেন সবচেয়ে দুঃখ জনক ব্যাপার হলো ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সাহেবের নিকট অভিযোগ দিলে তা সহজে আমলে নেন না অথচ আমদের সমর্থকরা কাউকে না মারলেও একটি কাউন্টার মামলা নেন এবং তাতে গ্রেপ্তার করেণ। এপর্যন্ত আমার কোন কর্মী কারও গায়ে আজও হাত দেয়নি। অথচ তাদের মামলার সংখ্যা আরও বেশী। বিয়য়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। প্রশাসনের এরুপ ভূমিকা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমার বিশ্বাস হয়না । তবে তিনি বলেন দু এক দিনের মধ্যে বিজিবি. র্যাব এবং আর্মি মাঠে নামলে পরিবেশের উন্নতি হবে এবং নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, ভয়ের কোন কারণ নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা।
এসব বলার আগে সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন আমি কিছু পরিকল্পনা নিয়ে ঝিনাইদহে নির্বাচন করতে এসেছি। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হয়েও স্বতন্ত্র ভোট করছি কারণ আমার এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি, পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবার ভোট সবার জন্য উন্মুক্ত হবে যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন তিনিই এমপি হবেন। কোন সহিংসতা চলবে না এবং ভোট হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসব মূখর। এই কারণে আমি নির্বাচনে এসেছি আমার পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সাথে আছেন এবং এই ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন স্কুল, কলেজ, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দির, খেলার মাঠ এগুলো নির্মান করা বা সংস্কার করা খুবই সহজ ব্যাপার তাছাড়া মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এগুলো ঝিনাইদহের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একত্রিত হয়ে কাজ করলে খুব সহজেই স্থাপন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন আমার বড় চ্যালেঞ্জ এই ঝিনাইদহে রেল লাইন স্থাপন করা। তিনি বলেন আমি নির্বাচিত হলে রেল লাইনের স্থাপনের সাথে সাথে এই এলাকার মানুষের সাথে একে অপরের যে সম্পর্ক আগে ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে আমি সেটা আবার পুনঃস্থাপনে কাজ করে যাব।
তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন এসময় তিনি বলেন আমাকে এবং আমার পরিবার নিয়ে যে বিভ্রান্ত মূলক তথ্য দিয়ে আসছে তা অদৌও সত্য নয়। আমার বাবা ভাষানী ন্যাপ করতেন এবং একবার সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীও হয়েছিলেন। এছাড়া আমি বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মসিউর রহমানের এমপি’র বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলাম কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল নাহলে আমি সেবারও নির্বাচিত হতাম। এসব অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান এবং আগামী ৭জানুয়ারি জাতীয় সংসস নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং উৎসব মূখর পরিবেশে যেন হয় সেজন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।