নিত্য তারকার জন্ম হয় ভারতীয় ক্রিকেটে। দলটির পাইপলাইন এতটাই সমৃদ্ধ যে চাইলেই আপনি দুই তিনটা একাদশ গড়ে ফেলতে পারেন। এমন দলে সবচেয়ে কঠিন কাজ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে নির্বাচকদের দল ঘোষণা। নির্বাচকদের তাই দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো যৌক্তিক কারণ থাকে না।
এই যেমন ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি সূর্যকুমার যাদব, সাঞ্জু স্যামসন, মোহাম্মদ সিরাজ ও তিলক ভার্মাদের মতো ব্যাটারদের। নিয়মিত পারফর্ম করলেও তাদের সুযোগ দিতে বেগ পেতে হয় নির্বাচকদের। ম্যাচ খেলাতে হয় বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে। তবে এদের মধ্যে তিলক নিজেকে একটু বেশিই অভাগা ভাবতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে নটআউট থেকে ৩১৮ রান করার বিশ্বরেকর্ড গড়েও যে জায়গা হয়নি তার। তবে তিনি যে ভারতের আগামীর সুপারস্টার সেটা বলতে দ্বিধা করেননি সাবেক ক্রিকেটার আম্বাতি রায়ডু।
সবশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে একাই হারিয়ে দিয়েছেন তিলক। ৫৫ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার। পথে টি-টোয়েন্টিতে টানা অপরাজিত থেকে রেকর্ড ৩১৮ রান করেছেন তিনি। টানা ৪ ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার। এই অপরাজেয় পথচলায় চার ইনিংসে ১৭৪ বল খেলে ২২ ছক্কা ও ২৪ চারে এই রান করেছেন ২২ বছর বয়সি এই ব্যাটার। পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক চাপম্যানের করা ২৭১ রানকে।
এমন একজন তরুণ ব্যাটারকে তাই ভারতের সুপারস্টার বলতে একটুও দ্বিধা করেননি সাবেক ক্রিকেটার রায়ডু। স্টার স্পোর্টসে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভারত বিশাল এক মহাতারকা পেয়ে গেছে। সব সংস্করণের ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে পারে সে। শুধু একজন টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সে নয়। এই ম্যাচে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে) যে ধরনের পরিণত মানসিকতা সে দেখিয়েছে, অনেক বছর ধরে ভারতকে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য তার আছে। সব সংস্করণেই তার ওপর আস্থা রাখা উচিত।’
তরুণ এই ব্যাটসম্যানের জ্বলে ওঠার পেছনে ভারতীয় অধিনায়কের কৃতিত্বও দেখেন রায়ুডু। বলেন, ‘তিলক এখনই মহাতারকা, তাকে আমি দেখেছি হায়দরাবাদে গড়ে উঠতে। চারটি অসাধারণ ইনিংস সে গত কিছুদিনে খেলেছে। সূর্যকুমার অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে যে বিশ্বাস সে জুগিয়েছে তিলককে, তার ওপর যতটা আস্থা রেখেছে, সেসবের প্রতিদান দিচ্ছে সে।’
সূত্র: যুগান্তর