নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই এই সিদ্ধান্তের গুঞ্জন শোনা গেলেও এবার তা বাস্তবে রূপ নিল। ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় থেকেই শান্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সেসময় বিসিবি তাকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে অনুরোধ করে। অবশেষে নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। শান্তর সিদ্ধান্তে বিসিবি সম্মতি জানিয়েছে।
বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘শান্ত আমাদের জানিয়েছে, সে আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক থাকতে চায় না। আমাদের এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই, তাই এই পরিবর্তন সহজেই করা সম্ভব। তবে ইনজুরি সমস্যা না থাকলে তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।’
বর্তমানে নাজমুল হোসেন শান্ত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন। আফগানিস্তান সিরিজে কুঁচকির ইনজুরির কারণে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মিস করেছেন। এখন তিনি এনসিএল টি-টোয়েন্টি ও বিপিএলে খেলে নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি।
শান্তর অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে লিটন কুমার দাস এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন তার নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর অধিনায়কত্ব ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে। লিটন ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বিসিবি চাইলে তিনি পুরোদমে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
শান্তর এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আবারও একাধিক অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করছে। এর আগে সাকিব আল হাসান তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক থাকলেও তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ফেব্রুয়ারিতে শান্ত তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব নেন। তবে ১ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন।
সূত্র: ইত্তেফাক