ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল দুর্ঘটনায় নিহত শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুসহ তিনজন। আহতদের মধ্যে শিশু মাহিমার (৩) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
নিহতরা হলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর ইউনিয়নের মাদবর কান্দির বাসিন্দা অলু হাওলাদারের মেয়ে কাকলী বেগম (২২), পার্শ্ববর্তী জালালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাকলী বেগমের মামী শাশুড়ি আমাতন বেগম (৪৫), আমাতন বেগমের মেয়ে মরিয়ম (৪)।
এছাড়া ঘটনায় কাকলী বেগমের মেয়ে শিশু মাহিমা (৩), শাশুড়ি রাহিমা বেগম (৪৫), মামা শ্বশুর জাহাঙ্গীর মিয়া (৫০) গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কাকলীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল বুধবার সিলেটের হযরত শাহজালাল (র) এর মাজার জিয়ারত করতে যান কাকলী, তার মেয়ে, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, মামী শাশুড়ি ও মামা শ্বশুরের মেয়ে মরিয়ম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে না পারায় সিলেটে তাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা।
সেখানে ৪ দিন থাকার পর সোমবার রাতে ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে তারা। গত মঙ্গলবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় তাদের বহনকারী ট্রেনটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে শরীয়তপুরের তিনজন নিহত ও শিশু মাহিমাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নিহতদের লাশ এনে ভেদরগঞ্জে দাফন করা হয়েছে।
উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শিপন শিকদার জানান, বুধবার সকালে সিএমএইচে শিশু মাহিমাকে দেখতে যান উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। তিনি তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শিপন শিকদার আরও জানান, শিশু মাহিমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন উপমন্ত্রী। এছাড়া শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এনামুল হক শামীম।
আরশিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুজ্জোহা রতন জানান, শিশু মাহিমা রাজধানীর সিএমএইচে ভর্তি রয়েছে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় এমপি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাফিস।
-নিজস্ব প্রতিনিধি