দামুড়হুদাতে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহারের রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
এ উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের মোড় বন্দর বাজারে জায়গা থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজে চলছে।
নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা তড়িঘড়ি কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ সড়কের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সামনে থেকে বড় মসজিদ মূল রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব পান অহেদ মিয়া নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের শুরু থেকেই রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের চেষ্টা করেন ঠিকাদার। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী বাধা দেন। ওই সময় নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা নিম্নমানের ইট ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিলে রাস্তার কাজ পূনরায় শুরু হয়।
শুরুর কয়েক দিন পর আবারও নিম্নমানের ইট আনতে দেখে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। পরে তারা রাস্তা নির্মাণে বাধা দিলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া হয়। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে তাদের অনেকে বলেন, দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে খুবই নিম্নমানের ইট ব্যবহার হচ্ছে। যা কোনো নাম্বারের মধ্যেই পড়ে না। রাস্তার নিচে ভাঙা ইট ব্যবহার করা হয়েছে। বালু দেয়া হচ্ছে কম। ইটের মান এতই নিম্নমানের যে এক-দুই হাত উঁচু থেকে ফেললেই ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন জানান, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের ইট ও পরিমাণমতো বালু না দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তায় এক নাম্বার ইট দেওয়ার কথা থাকলেও, দেওয়া হচ্ছে নাম্বারবিহীন ইট। বালিতে মেশানো হচ্ছে মাটি। যে পরিমাণ বালি দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশি দিন টিকবে না।
এ বিষয় জানতে ঠিকাদার অহেদ মিয়ার সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান রাস্তা নির্মাণে কোনো রকম অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কোনো সাংবাদিক লিখলে তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকী দেন এই ঠিকাদার।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগমের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।