অস্ত্রোপচারের প্রায় দুই মাস পার হওয়ার পরও রোগী সুস্থ না হওয়াতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে রমেশ ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে হরিজন সম্প্রদায়ের কয়েকজন। ক্লিনিকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে প্রায় দুই মাস আগে মেহেরপুর শহরের হালদারপাড়া নিবাসী এবং জেলা জজ আদালতে সুইপার পদে কর্মরত বিনোদের স্ত্রী জোসনা মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় ডাঃ রমেশ ক্লিনিকে পিত্তথলিতে অস্ত্রপচার করান। অস্ত্রপচার করেন ডাঃ মোস্তফা জাহিদ কামাল। ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কয়েকদিন পর জোসনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। রোগীর স্বামী রোগীকে আবার রমেশ ক্লিনিকে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় জোসনার একটি নার্ভ ছিড়ে গেছে।
রোগী অসচ্ছল ও হরিজন সম্প্রদায়ের হওয়াতে এবং জেলা জজ আদালতের কর্মচারীদের অনুরোধে রমেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা দায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজশাহী ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পরও তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়াতে ভুল চিকিৎসার কারণে জোসনার অবস্থার অবনতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে কতিপয় ব্যক্তি বুধবার বিকালে ডাঃ রমেশ ক্লিনিকে ভাঙচুর চালালে, খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর ফাড়ি পুলিশ এবং ডিবি সদস্যরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জোসনার আরো উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেয়ার পর বিষয়টির সাময়িক মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে রমেশ ক্লিনিকের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অপারেশনের পর রোগী বাড়ি চলে যায়। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোগী অসচ্ছল হওয়াতে আমি তার উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে। দুই মাস যাবৎ তার চিকিৎসা সকল খরচ আমি দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তার চিকিৎসার বাবদ। রোগীর স্বামী রোগীর সাথে ঢাকায় আছে। আজকেও আমার সাথে তার কথা হয়েছে, টাকাও পাঠিয়েছি। কিন্তু হরিজন সম্প্রদায়ের কয়েকজন আজকে আমার ক্লিনিকে যে ভাঙচুর অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে সেটা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।