ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খাবারে বিধিনিষেধ ও মিষ্টি স্বাদের আধিক্যের কারণে কাঁঠাল খেতে দ্বিধা করেন। গ্রীষ্মের রসালো ফল কাঁঠালের আছে অনেক পুষ্টিগুণ। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের কি কাঁঠাল খাওয়া ঠিক কিংবা তারা কাঁঠাল খেলে কতটুকু খাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোনো খাবারে দেহে শর্করার মাত্রা কতটা বৃদ্ধি পায়, পুষ্টিবিদরা তা মাপেন মূলত গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাধ্যমে। চিকিৎসাবিজ্ঞান সংশিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একশোর মধ্যে কাঁঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান প্রায় ৫০ থেকে ৬০। অর্থাৎ কাঁঠালের লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি।
যদি কোনো ডায়াবেটিসের রোগী দিনে পাকা কাঁঠালের তিন–চারটি কোষ খান তাহলে ওই দিন অন্য কোনো মিষ্টি ফল খেতে পারবেন না
কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পাচন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয় ফলে আচমকা রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা কমে। সব মিলিয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা অল্প পরিমাণে কাঁঠাল খেতে পারেন। যদি কোনো ডায়াবেটিসের রোগী দিনে পাকা কাঁঠালের তিন থেকে চারটি কোষ খান তাহলে ওই দিন অন্য কোনো মিষ্টি ফল খেতে পারবেন না। তবে সবার রোগের তীব্রতা সমান নয়, তাই কাঁঠাল যদি খেতেই হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
পাশাপাশি যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কাঁঠালের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও খাওয়া চলবে না কাঁঠাল। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।