প্রতি মুহূর্তেই বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে আরও অনেক অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে। এ জন্য সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা মানতে গিয়ে অনেকে অনেক রকম ভুল করে ফেলেন, যা আমাদের শুধরে নেওয়া উচিৎ।
বেশির ভাগ মানুষেরই এটা ধারণা যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বাস্তবে এ ধরণা মোটেই সঠিক নয়। কারণ নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সবাই খেতে পারেন। বরং চিকিৎসকদের মতে, শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই নয়, বেশি মিষ্টি খাওয়া যেকোনো মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর।
এছাড়া ডায়াবেটিস ধরা পড়লে স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলে না, এমনটাই ধারণা বেশির ভাগ মানুষের। তবে বাস্তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার। তাই কখনই শর্করা জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেয়া উচিত নয়। বরং কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কখনই রক্তদান করতে পারেন না, এমনটাই ধারণা বেশির ভাগ মানুষের। তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ যারা নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন, তারাই শুধু রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে, রক্তদানে কোনো সমস্যা নেই।
অনেকেই মনে করেন, চিকিৎসক ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মানেই রোগী মোটেও নিয়ম মেনে চলছেন না। বাস্তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সব সময় উচিত খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে যতটা সম্ভব কম পরিশ্রম করা। তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ, নিয়ম মেনে চললে আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও বাকিদের মতোই স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন।
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন