কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে অনভিপ্রেত হিসাবে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না- সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যু প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেটির জন্য আমরা সচেতন আছি, বিশেষত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইনের অপব্যবহার না হয়, সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় সচেতন আছি এবং কোনোখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে ছিল না, সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিণীকে যখন অপবাদ দেওয়া হয়, একজন সাধারণ মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে সে নিরাপত্তা পাবে, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এ জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরেই মুশতাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা জেলে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর