আমাদের অনেকেরই ধারণা– ডিম খেলে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তবে এ ধারণা ভুল। টানা ৩২ বছরের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য জনিয়েছেন গবেষকরা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের নেতৃত্বাধীন একটি দল এ গবেষণা জরিপ পরিচালনা করেন। গবেষক দলটি দুই লাখ ১৫ হাজার ৬১৮ নারী-পুরুষের খাদ্যতালিকার ওপর ৩২ বছরে ধরে নজর রেখেছেন। এসব নারী-পুরুষের খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে এক থেকে ৫টি করে ডিম ছিল।
গবেষক দলটি ডিম খাওয়া ও হৃদরোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ব্যাধি সংক্ষেপে সিডিভির মধ্যে সম্পর্ক দেখতে পায়নি।
গবেষক দলটি আরও দেখতে পেয়েছে, দিনে যারা একটির বেশি ডিম খান, তাদের সিভিডিতে আক্রান্ত হওয়ার তুলনামূলকভাবে বেশি আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে লাল গোশত বা রেড মিট খাওয়ার প্রবণতাও বেশি।
এ ছাড়া তাদের বডি মাস ইনডেক্সের সূচকও বেশি। মানে তারা তুলনামূলকভাবে ওজনে বেশি। এ গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক দলটি ডিম খাওয়া ও হৃদরোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ব্যাধি সংক্ষেপে সিডিভির মধ্যে সম্পর্ক দেখতে পায়নি।
গবেষণা নিবন্ধ লেখক ডা. জিন ফিলিপ ড্রুইন চারটিয়ার বলেন, ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক বিতর্ক চলছে।
এর আগে স্বাস্থ্য-সমীক্ষাগুলোতে হৃদরোগের সঙ্গে ডিমের সম্পর্ক নিয়ে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য-গবেষণার ভিত্তিতে দেখা যায়, দিনে একটি ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের কোনোই সম্পর্ক নেই।
তবে এখানে একটি বিষয় রয়েছে, তা হলো– চিকিৎসক যাদের ডিম খেতে নিষেধ করেছেন, তারা এ নিবন্ধের ভিত্তিতে ডিম খাওয়া শুরু করবেন না। তারা ডিম খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে