চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন দোস্ত গ্রামের আশরাফুল ড্রাগন বাগানে সফলতা পেয়েছেন। ড্রাগন বাগান সম্পর্কে জানতে চাইলে আশরাফুল বলেন, আমি যখন ড্রাগন বাগান শুরু করলাম, আমার শুরুটা অনেক কষ্টের ছিল কারন প্রথমে সবাই আমাকে পাগল বলছে আর বলছে আশরাফুল তুমি এটা কি বাগান করলা? গাছে কোন পাতা নেই ।
কিন্তু আমি আশরাফুল আমার মনের একটি দৃঢ় বিশ্বাস ছিল আমি ড্রাগন বাগান করে সফলতা পাবোই, এটি একটি লাভজনক বাগান হবে এবং এই চাষে আমার লোকসান হবে না, তার প্রমান আপনারা আমার এই বাগান দেখে বুঝতে পারছেন আমি সফল হয়েছি কিনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে আশরাফুল এর ড্রাগন বাগানে প্রতিটি গাছে ফল এসেছে, লাল কালারের সুন্দর রঙের ড্রাগন ফলে তার বাগান সুন্দর একটি রুপ ধারণ করেছে।
এই লাল রংঙ্গের ফল ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখলে যে কারোর মন ভরে যাবে। ড্রাগন বাগান সম্পর্কে আশরাফুল আরও বলেন, আমার এখানে মোট ২৬ কাঠা জমি আছে আর এই জমিতে প্রায় ২৭০ থেকে ২৮০ টি পিলার বসানো আছে এবং প্রতিটি পিলারে আমি ৪টি করে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেছিলাম, আমার বাগানের বয়স দুই বছরের মতো হবে।
চাষী আশরাফুল এর কাছে প্রশ্ন করা হয় এই ড্রাগন তো বাহিরের দেশের ফল আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এটি কেমন হবে? উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়াতে এটি চাষ হবে তার প্রমান আমার বাগান আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এই ড্রাগন বাগানে পরিচর্যার দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে হবে কারণ এর থেকে যদি আপনি অধিক মুনাফা পেতে চান তাহলে যত্ন সহকারে পরিচর্যা করতে হবে।
কারন আপনি যত বেশি পরিচর্যা করতে পারবেন আপনি তত বেশি ফল পাবেন, এবং এই ড্রাগন ফলের গাছে আপনারা যত বেশি জৈব সার ব্যবহার করবেন তত ফলন বেশি পাবেন এবং গাছে কোন রোগ হবে না। আবার তেমনি আপনার জমির মাটির গুনাগুন ভালো থাকবে। আমি আমার বাগানে অতিরিক্ত জৈব সার ব্যবহার করেছি, যার কারনে আমার গাছে ফল বেশি এসেছে। যদি বাজার ভালো থাকে বাজার মূল্য ৪০০ টাকা করে পাই। তাহলে আমি আমার ড্রাগন বাগান থেকে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা মতো আয় করতে পারবো বলে আশা করছি।