গাংনীতে দীর্ঘ ২৫ বছর পর আদালত কর্তৃক নিজের জমি বুঝে পেলেন মাসুদুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি।
আদালতের রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে মাসুদুর রহমান দিগর কে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের তিন জজ জারি কারক স্থানীয় অমিন নিয়ে ৪ একর ৪৫ শতক জমির সীমানা র্নির্ধারণ করে জমির মালিকদ্বয়কে জমি বুঝিয়ে দেন। এবং জমির চতুর্পার্শ্বে লাল নিশানা পুতে দেন আদালতের প্রতিনিধি দল। আদালতের রায়ের বাস্তবায়ন দেখতে এলকার শতশত উৎসুক জনতা জড়ো হয় ঘটনা স্থলে।
সুত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে মেহেরপুরের গাংনীর থানা পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান দিগর বাদী হয়ে মেহেরপুর জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। যার দেওয়ানী মামলা নং ১/১৮। গাংনী উপজেলার ধানখোলা রাস্তার পার্শ্বে ২২ টি দাগে মোট ৪ একর ৪৫ শতক হিন্দুদের সাথে বিনিময় মুলে মালিকানা দাবী করে স্থানীয় আজিজুল দিগর ভোগ দখর করে আসছিলেন। শরিকানা মুলে মাসুদুর রহমান দিগর তাদের অধিকার আদায়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত গত ১০ জানুয়ারী মাসুদুর রহমানদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অধিকার বঞ্চিত মাসুদুর রহমান দিগর। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, প্রথমে আনোয়ার হোসেন, তিনি মামলা ছেড়ে দিলে অ্যাডভোকে আফরোজা খাতুন মামলা পরিচালনার দায়িত্বভার নেন। মাসুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কমিশনার আরিফ উজ্জামান।
দীর্ঘদিন পরে হলেও মাসুদুর রহমান দিগর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্মান জানিয়ে বলেন, দেশে আইন ও আইনের শাসন আছে বলেই আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি। এসময় আদালতের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ মনিরুর ইসলাম, আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ ফারুক হোসেন তিন জন জারিকারক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুধিজনসহ এলাকার শতশত লোকজন এখানে উপস্থিত হন।
এসময় জমির মালিককে তার জমি বুঝিয়ে দিতে ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে লাল নিশানা পুতে দেয়া হয়।