ঢাকা শহরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের তিনটি উপধরন (সাব-টাইপ) রয়েছে। এই উপধরনগুলো রাজধানীতে বেশি ছড়াচ্ছে।
ঢাকায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়েবসাইটে সোমবার সকালে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিক্যুয়েন্স বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ঢাকা শহরে তিনটি সাব-টাইপ রয়েছে। এগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়।
আইসিডিডিআরবি বলছে, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে তাদের ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই ছিল করোনায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৬৯ শতাংশের দেহে।
গবেষণা সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে ৬ ডিসেম্বর ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ১১ ডিসেম্বর। ওই মাসেই আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পরীক্ষা করা ঢাকা শহরের ৭৭ করোনা রোগীর মধ্যে পাঁচটিতে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদনে। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও মহিলা ১৬ জন। ২৭ জনের কোনো উপসর্গও ছিল না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৪ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ জন। ২৯ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনার এই ধরনে আক্রান্ত একজন সৌদি আরব থেকে ফেরা। বাকিরা দেশেই ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের তথ্যানুযায়ী, দেশে এখন আক্রান্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।