হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে শুক্রবার বিকালেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আল্লামা শফীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার অক্সিজেন হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ার পাশাপাশি ফুসফুসে পানি জমেছে। শ্বাসকষ্টও বেড়েছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এখন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আল্লামা শফী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি হাসপাতাল যেতে চাইলেও তাকে আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা।
রাত ১২ টার দিকে মাদ্রাসার প্রধান গেটের সামনে প্রায় আধাঘণ্টা আল্লামা শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রেখেছিল আন্দোলনরত ছাত্ররা।
এর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন হেফাজত আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মাদ্রাসার মজলিসে শুরার কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন।
ঘোষণায় বলা হয়, মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যাওয়ায় আল্লামা শফীকে সদরে মুহতামিম বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে মাওলানা নুরুল ইসলাম কক্সবাজারিকে থেকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি মাওলানা আনাস মাদানীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমস্যরা মাদ্রাসার সামনে থেকে সরে যায় এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে মাদ্রাসার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত, প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।